মঙ্গলবার   ২২ অক্টোবর ২০২৪ || ৬ কার্তিক ১৪৩১

জাগ্রত জয়পুরহাট

প্রকাশিত : ১২:১৯, ১১ জুলাই ২০২৪

কুসুম ফুল খেলে জন্ডিস ভালো হয়

কুসুম ফুল খেলে জন্ডিস ভালো হয়
সংগৃহীত

কুসুম ( Safflower) একটি বর্ষজীবি উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Carthamus tinctorius L.। এই গাছ ১-৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কমলা-হলুদ রঙের ফুলগুলো প্রায় ১ থেকে দেড় ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। এটা অনেক সময় জাফরানের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়।

পৃথিবী বহুদেশে এটাকে জাফরান নামে বিক্রি করে ঠকানো হয়। মসলা হিসেবে এটার কোনো মূল্য নাই কিন্তু রং করার ক্ষমতার কারণে অনকে সময় অনেকে ধোকা খায়। কুসুমফুলের পাতার কিনারা করাতের মতো খাঁজ কাটা এবং এর কাণ্ড, পাতা বা ফুলের কলিতে তীক্ষ্ণ ও ধারালো কাঁটা থাকে। গাছের ডগা থেকে সবুজ গোলাকার কলি বের হয়। কলি থেকেই হলদে-লাল আভাযুক্ত ফুল ফোটে। চিকন শলার মতো অনেকগুলো পাপড়ি থাকে এ ফুলে। ফল ত্রিকোণাকার, সাদা ও উপরটা মসৃণ। হেমন্তকালে বীজ লাগানো হয়, শীতকালে ফুল ফোটে এবং গ্রীষ্মকালে ফল হয়। 

কুসুমফুল সাধারণত ক্ষেতের চারদিকে লাগানো হয় মূল ফসলকে রক্ষা করার জন্য। কেননা এ গাছের পাতা, ফুল বা ফল গাবাদিপশু খায় না। আবার অনেকে পুরো ক্ষেতজুড়েই কুসুমফুল লাগান এবং সাথী ফসল হিসেবে ডালজাতীয় অন্যান্য গাছও লাগান। মিষ্টি গন্ধযুক্ত কুসুমফুল শুধু মানুষকেই নয়; কীট-পতঙ্গকেও আকৃষ্ট করে। 

ভেষজ এবং লোকায়ত চিকিৎসায় এর ব্যবহার বহুবিধ। বীজ থেকে তেল পাওয়া যায়। এ তেল রান্না ও চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। কুসুম গাছ দুই ধরনের। একটি বেশ বড় এবং ঊঁচু, অন্যটি খুবই ছোটও ঝোপালো ধরনের। কাপড়ের রং হিসেবে কুসুম অনেক পুরোনো ও বিখ্যাত। মূলত ছোট গাছ থেকেই রং পাওয়া যায়। প্রাচীন মিসরেও এর চাষ হতো। এরা পরিত্যক্ত মাঠ কিংবা ঘাসবনে আপনা আপনিই জন্মে। তাছাড়া কুসুম ফুল নদীর তীরে, পাহাড়ের ঢালে, কৃষিজমিতে, বসতবাড়িতে এমনকি টবেও লাগানো যায়। এই ফুল গাছ বাংলাদেশ সহ সর্বত্র জন্মায়। এছাড়াও কুসুম ফুল ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ঔষধি গুণাবলী

১। শরীরে খোসপাঁচড়া হলে কুসুম ফুলের বীজের তেল লাগালে ভালো হয়ে যায়।
২। বাতের ব্যথা হলে কুসুম তেল মালিশ করলে ব্যথা উপকার পাওয়া যায়।
৩। শিশু জন্মের পর এর বীজের পাউডার একটা কাপড়ে নিয়ে গরম করে সেঁক দিলে ব্যথা কমে যায়।
৪। কুসুম ফুল খেলে জন্ডিস ভালো হয়।
৫। ঠান্ডা লেগে যদি  সর্দি হয় তাহলে কুসুম তেল বুকে মাখলে উপকার পাওয়া যায়।
৬। বর্তমানে জিন প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশেষ প্রজাতির কুসুম ফুলের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে যার থেকে ডায়াবেটি্সের ঔষধ ইনসুলিন উৎপাদন করা হয়।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ