স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার ঘটনা আর যেন না ঘটে, সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের আদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে দুর্গাপূজার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
সীমান্ত হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বর্ডার কিলিং (সীমান্তে হত্যা) নিয়ে এখানে একটু আলোচনা হয়েছে। এজন্য এখানে আমি শুধু বলব, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট অথরিটিকে (কর্তৃপক্ষ) আদেশ করেছি। আমি আশা করব, ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না।
উপদেষ্টা বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে যেন দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে পারে, সে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে যাতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পূজা উদযাপন করতে পারে, সেজন্য অসচ্ছল মন্দিরসমূহের অনুকূলে এবার প্রধান উপদেষ্টার তহবিল থেকে বরাদ্দ দ্বিগুণ করে ৪ কোটি টাকা করা হয়েছে। তিনি বলেন, পূজার সময় এপারের লোক ওপারে পূজা দেখতে যায়, আবার ওপারের লোক এপারে পূজা দেখতে আসে। এখানে সবাইকে আমি অনুরোধ করেছি, এবার আপনারা বর্ডার বেল্টে (সীমান্ত এলাকায়) ভালো ভালো পূজামণ্ডপ করেন, যাতে আমাদের লোক ওই পারে না যায় পূজা দেখার জন্য। ওই পারের লোকও যেন এই পারে না আসে। পূজামণ্ডপের তথ্য তুলে ধরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখন পর্যন্ত যা পেয়েছি, তাতে এবার সারা দেশে পূজামণ্ডপ হবে ৩২ হাজার ৬৬৬টি।
তবে সংখ্যাটি আরও বাড়বে বলে জানান তিনি। গতবার পূজামণ্ডপ ছিল ৩৩ হাজার ৪৩১টি। বৈঠকে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, ঢাকা মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব ও সাধারণ সম্পাদক ড. তাপস পাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন