বৃহস্পতিবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ || ৩ আশ্বিন ১৪৩১

জাগ্রত জয়পুরহাট

প্রকাশিত : ১৬:৪৯, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হাজিরা বোনাস বাড়ল ২২৫ টাকা, নিয়োগে নারী-পুরুষ সমঅধিকার

হাজিরা বোনাস বাড়ল ২২৫ টাকা, নিয়োগে নারী-পুরুষ সমঅধিকার
সংগৃহীত

আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের হাজিরা বোনাস ২২৫ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া নতুন নিয়োগে নারী-পুরুষ বৈষম্য থাকবে না। এক্ষেত্রে যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। আজ মঙ্গলবার থেকে সব কারখানা খোলা থাকবে।

গতকাল সোমবার আশুলিয়া অঞ্চলের সমন্বয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম। সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. মইন খানসহ যৌথ বাহিনীর প্রতিনিধি, হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ. কে. আজাদ, শারমিন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসমাইল হোসেনসহ আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন কারখানার মালিক ও শ্রমিক নেতারা বৈঠকে অংশ নেন। বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া বৈঠক শেষ হয় রাত ১০টায়।

হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি এবং পোশাক কারখানায় নারী শ্রমিকের তুলনায় পুরুষ বেশি নিয়োগ দেওয়াসহ ১১ দফা দাবি নিয়ে ১২ দিন ধরে শ্রম অসন্তোষ চলছে আশুলিয়ার বিভিন্ন কারখানায়। অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া শ্রম অসন্তোষ এক পর্যায়ে থেমে যায়। তবে যৌথ বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে গতকালও ৭৯ কারখানা শ্রম অসন্তোষের জেরে ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয় মালিকপক্ষ।

এতদিন পোশাক খাতে নিয়োগে নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হতো। এদিকে শ্রমিকদের কাজে উৎসাহিত করতে মাসে সন্তোষজনক হাজিরার ভিত্তিতে বোনাস দিয়ে থাকেন কারখানার মালিকরা। তবে হাজিরা বোনাস ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত নয়।

পোশাক কারখানায় পুরুষের তুলনায় নারী শ্রমিকের সংখ্যা বেশি। তবে গত কয়েক বছরে নারী শ্রমিকের হার কমেছে। গবেষণা সংস্থা ম্যাপড ইন বাংলাদেশ-এমআইবির পরিসংখ্যানে জানা যায়, পোশাক খাতে নারী শ্রমিকের হার ৫৭ শতাংশে নেমে এসেছে। একসময় এ হার ছিল প্রায় ৮০ শতাংশ।
পোশাক খাতের চার শতাধিক কারখানা রয়েছে আশুলিয়া অঞ্চলে। বড় বড় অনেক কারখানা আছে এখানে।

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিন গত রাতে সমকালকে জানান, বৈঠকে শিল্পের নিরাপত্তা এবং শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব দাবি কতটা যুক্তিসংগত এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা আলোচনা চলে। শেষ পর্যন্ত বাড়তি হাজিরা বোনাস কেবল আশুলিয়া অঞ্চলের কারখানাগুলোর শ্রমিকদের জন্য বিশেষ বিবেচনায় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বর্তমানে যে কারখানার পক্ষ থেকে যত টাকা দেওয়া হয়, তার অতিরিক্ত হিসাবে ২২৫ টাকা করে দেওয়া হবে। কোনো কারখানা মাসে ৫০০ টাকা, কোনোটি আরও কম বা বেশি দিয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন, নতুন করে নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সমান অধিকার এবং অবশ্যই যোগ্যতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

সূত্র: সমকাল

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ